দ্বীনের পথে চলার স্থীরতা

Jan 7, 2025 · 8 min read

দ্বীনের পথে চলার ব্যাপারে মনস্থির করার পর থমকে যাওয়া পরিবারগুলো

ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া - আমাদেরকে গণমানুষকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ দেয়। সাধারণত পুরো পরিবার নিয়ে এত মানুষ রেল স্টেশন বা বিমান বন্দরে আসেনা। তাই এই সময় মুসলিম পরিবার গুলোর বাহ্যিক অবস্থা দেখার সুযোগ থাকে। দ্বীনের দাওয়াত যে প্রসার লাভ করেছে তা জনসমাগম স্থলগুলোতে মুসলিম দম্পতিদের (মেয়েদের হিজাব, নিকাব, আর ছেলেদের দাড়ি আর টাখনুর উপর জামা থেকে) আধিক্য থেকে বোঝা যায়। কিন্তু বাহ্যিক অবস্থা মুসলিম কমিউনিটির প্রকৃত অগ্রগতির মানদণ্ড নয়। একটু খেয়াল করলেই এই দম্পতিদের কিছু অগ্রহণযোগ্য (ইসলামের মানদন্ডে) চর্চা আর অবস্থা চোখে পড়ে। যারা এখনো ৩০ এর কোঠায় আর এখনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পিতা মাতা, তাদের অনেককেই দেখা যায় ট্রেন বা বিমানের অপেক্ষায় থাকাকালীন সময় নিজেরা স্মার্টফোনের স্ক্রিনে বুদ হয়ে আছেন। অন্যদিকে বাচ্চাদেরকেও একইভাবে gadget দিয়ে ব্যস্ত রাখছেন। এরপর আছেন যারা প্রায় ৪০ এর কাছাকাছি বয়সের দম্পতি এবং প্রাপ্তবয়স্ক (ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছর নয়) সন্তানের পিতামাতা। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় মা পরিপূর্ণ হিজাব পরিধান করলেও তার টিনএজ মেয়ে ঠিক তার উল্টো (অর্থাৎ অন্য কিছু পড়েছে যেটা সাধারণ বাংলাদেশি মানুষ ও শোভন বলবেনা)। একই রকম ভাবে বাবা দাড়ি রাখলেও ছেলেকে দেখা যাচ্ছে শেভ করা। এই জায়গায় এসে পাঠকদের একটা বিশাল অংশ ভেবে উঠে যে কেন আমরা অন্য লোকেদের judge করছি। এটি আধুনিকতাবাদ দিয়ে প্রভাবিত মুসলিমদের মধ্যে এখনকার দিনের একটি নতুন ধারা। আমি এই ভ্রান্ত ধারণার ব্যাখ্যায় যাবনা। এছাড়া আমি ব্যক্তির সমালোচনা করছিনা। চলুন দেখা যাক কী ঘটে যখন মুসলিমরা সংখ্যায় অনেক বাড়তে থাকে কিন্তু তাদের মধ্যে ইসলামের বুঝ এবং জীবনে প্রকৃত দ্বীনের চর্চা থাকে না। আবু বকর রা: এবং ওমর রা: এর যুগে ইসলামের যে দিগ্বিজয় শুরু হয়েছিল, তাতে ইসলাম নতুন নতুন ভূমিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল। সাহাবীরা যেহেতু সংখ্যায় ধীরে ধীরে কমছিলেন (স্বাভাবিক এবং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এর কারণে মৃত্যুর জন্য), তাই অধিকাংশ ভূমিতে নতুনদের মধ্যে থেকে শাসক, আলেম এবং দ্বায়ী নির্ধারণ করে তারা নিজ ভূমিতে ফিরে আসতেন। কিছু ব্যতিক্রম ছিল বৈকি। এরপর ও উসমান রা: এর যুগে একদল নব্য মুসলিম একজন সম্মানীত জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবীর খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং পরে তাকে হত্যা করে। তাদের সঠিক ইসলামের বুঝ না থাকায় যেমন তাদেরকে manipulate করে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করেছিল, আজকের দিনে আমরাও একই রকম ঝুঁকিতে আছি। তাই এখন দ্বীনদার (বাহ্যত) অনেককেই পাশ্চাত্যের ছড়িয়ে দেওয়া নারীবাদ, সমকামিতা, নারীদের সমঅধিকার , নারী মুক্তি - এসব বিষয় গুলোতে তাল মিলিয়ে চলতে দেখা যায়।

মূল বিষয় থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কায়, আমি ইসলাম চর্চার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থমকে যাওয়া পরিবারগুলোকে নিয়ে আমাদের কী কী সমস্যা হচ্ছে সেটা আলোকপাত করব এবং এরপর কিছু সমাধান প্রস্তাব করব। আল্লাহ আমাকে তৌফিক দিন।

সমস্যা ১: 🚨 পরিপূর্ণ হিজাব নিকাব পালনে মনোনিবেশ করার পরও কিছু মা তাদের মা বাবা অথবা শ্বশুর শাশুড়িকে খুশি করার জন্য অবাধ মেলামেশার পরিবেশে নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে থাকেন। ইসলামিক প্রশ্নোত্তর এর অনুষ্ঠানগুলোতে এ বিষয়ক প্রশ্নের ব্যাপকতা থেকে এটি স্পষ্ট। অনেকেই এমনভাবে প্রশ্ন করে একটি হ্যাঁ উত্তর নিয়ে আসেন যা হয়ত তার নিজের সাথে নিজের প্রতারণার মত হয়। কিন্তু দিন শেষে সন্তানরা বড় হয় অভিভাবক ছাড়া অথবা নানা নানী/ দাদা দাদীর কাছে। বৃদ্ধ নানা নানী এবং দাদা দাদীর পক্ষে এই সময় এসে ছোটদের সময় দেওয়াটা দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই মা ব্যতীত অন্য যে অপশনেই যাওয়া হোক না কেন, সন্তানরা ইন্টারনেট আর gadget এর দুনিয়াতে এমন সব জ্ঞান নিয়ে বড় হতে থাকে, যা তার জন্য বিষের চাইতেও মারাত্মক। বিষের চাইতেও খারাপ বললাম কারণ, বিষ কেবল একজনকেই ধংসের দিকে নিয়ে যায়। এই সন্তানকে যখন ইসলামিক বাবা মা ভালো করার স্বপ্ন নিয়ে ইসলামিক স্কুলে পাঠাচ্ছেন, তখন এই অতি জ্ঞানী বাচ্চা অন্য বাবা মা দের কষ্ট করে (অশ্লীলতা থেকে দূরে রেখে, বই পড়িয়ে, খেলিয়ে) বড় করা সন্তানদের শ্রেণীকক্ষে ঘটে যাওয়া কেবল একটি কথোপকথনেই কলুষিত করে দিচ্ছে। আর আমরা মুসলিম ভাইদের ব্যাপারে ভালো ধারণা করার দিক নির্দেশনা কে নিয়ে গিয়ে ফেলেছি কাফিরদের উপর। আমরা তাদের ব্যাপারেও ভালো ধারণা পোষণ করি। ইন্টারনেটের জগতে নাস্তিক এবং সমকামিতার পাঠ দেওয়ার জন্য এরা টহল দিয়ে বেড়ায় এবং ছোট বাচ্চাদের কেও তারা বিভিন্ন ফোরামে চ্যাট বা কমেন্টের মাধ্যমে আন্দাজ করে তার একাকীত্বের জায়গায় সুড়সুড়ি দিয়ে দলে ভেড়ায়। আমরা এই বিষয়গুলো একেবারে অস্বীকার করি। এমন কোন বোনকে (যিনি মা) এসব বিষয়ে সাবধান করতে গেলে দেখবেন, তিনি এগুলোর অস্তিত্ব স্বীকার করলেও খুব অদ্ভুত কারণে তার সন্তান এতে প্রভাবিত হবে না এই ব্যাপারে সুনিশ্চিত থাকেন। আসলে সমস্যা হল, তিনি মা বাবা অথবা শ্বশুর শাশুড়ি থেকে চাকুরী ছেড়ে দিলে যে প্রতিরোধ পাবেন, সেটা নিতে চান না। ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সের বাচ্চাদের মানসিক অধঃপতন যে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে সেটা স্কুল গুলোর কাছে গেলে কতগুলো ক্লাস 5/6/7 এর মেয়ে (বোরখা পড়া অর্থাৎ এদের বাবা মা দ্বীনদার) সমবয়সী ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে (আর কী কী করছে তা বললাম না) তা দেখলেই বুঝবেন। আর ওই একই বয়সী ছেলেদের সারা দিনের কাজ হল টিকটকে ভিডিও তৈরি করা। আমি উত্তরা নিয়মিত গিয়ে থাকি এবং এই চিত্র রাজউক কলেজের পাশের ঈসা খাঁ এভিনিউতে গেলেই দেখতে পাবেন যে কোন দিন। এদের বাবা মা এসব ব্যাপারে গাফেল। এই পয়েন্ট শেষ করছি এই কথা বলে যে, আপনার সন্তান নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা এই কারণে যে আপনার সন্তানকে ইন্টারনেটে অবাধভাবে ছেড়ে দিয়ে আপনার ক্যারিয়ার চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপনার সন্তানের সাথে সাথে অন্য সন্তানদের কে কলুষিত করছে। আর এইভাবে একটি কমিউনিটি কখনো আগাতে পারবে না।

সমস্যা ২:🚨 আপনি এবং আপনার স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি টাকে হালাল করার জন্য এখন রাত দিন ছোট ছোট ভিডিও আর আর্টিকেল ব্রাউজ করতে থাকেন। এই কাজ সারাদিনের ব্যস্ততা শেষ করে বাসায় এলেও চলে। কোথাও অপেক্ষায় থাকাকালীন সময়েও আমরা স্মার্টফোন এ বুদ হয়ে থাকি। অনেককে চাকরির প্রয়োজনে বার বার মেসেজ চেক করতে হয়, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সন্তানরা দিন শেষে বাবা মার একটু মনোযোগের জন্য আকুল হয়ে কাঁদতে কাঁদতে একসময় নিজেরাও স্মার্টফোন খুঁজতে থাকে। তখন আমাদের আছে সহজ সমাধান!!! - বাচ্চাকে ও একটা ভিডিও দিয়ে নিজের ব্রাউজিং এ আবার মনোনিবেশ করি। এই সন্তানরা এইভাবে অস্থির হয়ে উঠে এবং এই অস্থিরতা শ্রেণীকক্ষে নিয়ে আসে। আপনারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে ব্যক্তিগত আলাপ করলে দেখবেন তাদেরকে আগের যুগের (আমাদের শিক্ষকদের তুলনায়) চাইতে ছাত্র ছাত্রীদের মনোযোগ নিয়ে আসার জন্য কী পরিমাণ কষ্ট করা লাগে। যেহেতু এই সন্তানেরা তাদের কথা বাবা মাকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে দেখেনা, এদের নিজেদের মধ্যে ও রাসূল সাঃ এর সুন্নাহ - কারো দিকে মনোনিবেশ করে তার কথা শোনা - বলা যায় গড়ে উঠেনা। শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ তাই বিরল ব্যাপার।

এই সমস্যা গুলোকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের সন্তানদের নিয়ে আমরা আল্লাহর কাছে জিজ্ঞাসিত হব। কিন্তু বাবা মা এর কথা শুনে সন্তানকে অগ্রাধিকার না দিয়ে ক্যারিয়ার এর পথে দৌড়াই নি কেন সেটা নিয়ে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন না। আর এই ভাবে দ্বীনের পথে আসার পর কিছুদূর এগিয়ে আমাদের পরিবারগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। চলুন দেখা যাক কী করে আমরা পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে পারি।

•📌 রাসূল সাঃ বলেছিলেন এমন একটি সময়ের কথা যখন দ্বীন পালন করা জ্বলন্ত কয়লা হাতে নিয়ে চলার মত কঠিন হবে। অতএব, আপনি এবং আপনার পরিবার (স্ত্রী সন্তান) দ্বীন পালন শুরুর পর সেটা নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য থেকে কোন বাঁধাই আসবেনা, এটা অবাস্তব সুখ স্বপ্ন। এই স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন। বাবা মা এর সাথে বেয়াদবী না করেও আপনার নিজের জীবনে তাদের কে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে বলুন। এরপরও তারা রাগ করলে সেই দায়ভার আপনার নয়।

• 📌অনেক দ্বীনি ভাই তাদের স্ত্রীকে চাকুরী ছাড়ার ব্যাপারে যথাযথ সমর্থন দেন না। কারো মনে থাকে নিজের বাবা মা কে খুশি করা, কারো থাকে স্ত্রীর আয় থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ। এগুলো অপ্রিয় সত্য। আমাদের সত্যিকার কাওয়াম হওয়া নিজের পরিবারকে রক্ষার মধ্যেই নিহিত আছে। এই ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় থেকে পরবর্তীতে সন্তানের আশানুরুপ অগ্রগতি না হলে পরস্পরকে দোষারোপ করে কোন অর্জন হয় না।

•📌 যারা তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা বোন, তাদেরকে বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হতে হবে। আমাদের মুসলিম বোনদের মধ্যে বিয়ে না করে থেকে যাওয়ার ধারা এখন শক্তিশালী হচ্ছে। যথারীতি এই প্রশ্ন এখন নিয়মিত - “আমার প্রথম বিয়েতে আমার বিয়ের ব্যাপারে খুব খারাপ ধারণা হয়েছে। আমি আমার এক মাত্র সন্তান নিয়ে অবিবাহিত থেকে যেতে পারি?"। অথচ সেই বিখ্যাত আসমা বিনতে উমাইস রা এর কথা ধরুন যিনি স্বামী জাফর বিন আবু তালিব রা: মারা যাওয়ার পর আবু বকর রা: এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর তিনি আলী রা: কে বিয়ে করেছিলেন। তার চিন্তা ভাবনায় সমস্যা ছিল নাকি আমাদের - সেই বিচার আপনাদের কাছে ছেড়ে দিলাম। কেবল একটি দুর্ঘটনার জন্য সকল পুরুষ মানুষ খারাপ হয়ে গেছে - এই ধারণা পোষণ করে বিয়ে থেকে বিরত থেকে বোনেরা নিজেদের উপর আয় রোজগার ওয়াজিব করে নেন। আর এর কুফল এসে পরে সেই সন্তানের উপর। সেই সন্তানের দুষে যাওয়ার দায় চাপানো হয় তালাকের উপর। অথচ স্বাভাবিক ভাবে আবার নতুন সংসার করলে হয়তো এই বাচ্চাকে সময় দেওয়া যেত। তবে আমাদের তালাকপ্রাপ্ত, বৈধব্যতে আছেন, বা সাধারণ অবিবাহিত ভাইদের মধ্যেও সন্তান আছে এমন বোনদের বিয়ে করার ব্যাপারে আগ্রহ গড়ে উঠা উচিত। কথায় কথায় কেবল কুমারী বিয়ে করার হাদীস নিয়ে এসে এমন ভাব নেওয়া যে তালাকপ্রাপ্তা কাউকে বিয়ে করা প্রায় হারাম, এটি সমাজের জন্য একটি বাঁধা। খেয়াল করুন যায়িদ বিন হারিসা রা: যখন তার চাইতে প্রায় দ্বিগুণ বয়সের উম্ম আয়মান রা: কে বিয়ে করেছেন, তখন রাসূল সাঃ কি তাকে নিষেধ করেছেন?

• 📌ইন্টারনেটে অবাধ ভাবে ঘুরে বেড়ানোর যে কুৎসিত মাদকতা আমাদের তৈরি হয়েছে, সেটা থেকে স্বামী স্ত্রী দুই জনকেই বেরিয়ে আসতে হবে। মোবাইল ফোনে খবর পড়া বা অন্য কোন যোগাযোগ করার থাকলে সেটা বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়লে ১৫ মিনিটের মধ্যে সেরে ফেলা যায়। আর দিনের বেলায় বাকি যোগাযোগ গুলো করেই সাথে সাথে ফোন হাত থেকে রেখে দেওয়া চাই। বাচ্চাদের সব চাইতে অপ্রিয় সময় হল বাবা মা এর স্ক্রিন টাইম। আপনারা সন্তানদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। এছাড়া ইসলামিক লেকচার গুলো মোবাইল থেকে না দেখে ল্যাপটপ থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার পরামর্শ দিচ্ছি।

আমার লেখাতে কিছু প্রাসঙ্গিক পয়েন্ট বাদ পড়তে পারে। সবাইকে এর সাথে যোগ করার অনুরোধ থাকলো। আমাদের অমনোযোগিতার সুযোগ নিয়ে সন্তানরা ইন্টারনেটের জগতে নাস্তিক আর সমকামিতার পতাকাবাহীদের খপ্পরে পড়ে গেলে আমাদের অনলাইন ইসলামিক কার্যক্রম নিয়ে উচ্ছ্বাস কোন কাজে আসবে না। আমি আমাকে এবং সকলকে অনলাইন সময় নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করার অনুরোধ করছি এবং সন্তানদের লালন পালনে মনোযোগী হওয়ার উপদেশ দিচ্ছি। নয়ত আমাদের মধ্য থেকেই এক দল মুসলিম এক বিশাল বিপদ নিয়ে আসবে, যেমন টা এসেছিল উসমান রা: এর সময়ে এবং আরো অনেকবার। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোকে ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ন ভাবে নিয়ে আসুন এবং পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলামের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত করুন।

আবু আঈশা
৯ শাওয়াল ১৪৪৩

Back to top